দেহের মাঝে এঁটে রয় ব্রহ্মাণ্ড বিশাল
উপরেতে আকাশ রহে নিচেতে পাতাল
এর গভীরে যে মালামাল হেলায় তাহার খবর নিলানা।
[জালাল উদ্দিন খাঁ, জালাল গিতীকা সমগ্র, পৃঃ ৩১৫]
জালাল উদ্দিন খাঁ এর উপরোউল্লিখিত পংক্তিটি মানব মনে ব্রহ্মাণ্ড বিষয়ে জানার আগ্রহ সৃষ্টি করে। জানতে ইচ্ছা হয় পৃথিবী কিংবা মহাবিশ্বের সাথে মানব দেহের সম্পর্কটা কি? কোন যুক্তিতে মানব দেহে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড খুজব? এমন কি জিনিস মানুষের দেহে জড়িত আছে যার খবর আমরা হেলায় নিচ্ছি না? আর এহেন বহু মাত্রিক প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে এবং তা আদ্যান্ত জানার আগ্রহ থেকে আমার লিখতে বসা। শুরুতেই ভুল সমূহ পাঠককূলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার সবিনয় আরজ রাখি। ব্রহ্মাণ্ড শব্দটি বিশেষ্য, যার অর্থ অখন্ড পৃথিবী, ভূমণ্ডল, বিশ্বজগৎ [সূত্রঃ লালন শব্দকোষ, পৃঃ ৯৩]। ব্রহ্মাণ্ড বলতে সাধারণত পৃথিবীকে বুঝায় যদিও বা বাংলা অভিধানে এর অর্থ ব্রহ্মা হিসেবে দেখানো হয়েছে। হিন্দু সনাতন ধর্ম মতে সৃষ্টিকর্তাকে ব্রহ্মা বলা হয়, সুতরাং শব্দটির গুরুগম্ভীর অর্থ ও তাৎপর্য রয়েছে তা সহজেই অনুমেয়। বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড শব্দটি দ্বারা চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র, ধূমকেতু, উল্কা, নীহারিকা সহ সকল জ্যোতিষ্ক, নক্ষত্রমণ্ডলী, গ্যালাক্সী, ছায়াপথ সহ আল্লাহর সৃষ্ট সপ্ত আসমান, সপ্ত জমীন, মহাকাশের সমস্ত উপাদান ও বিজ্ঞান অনাবিষ্কৃত সহ সমগ্র ১৮ হাজার সৃষ্টির একিভূত রূপকে বোঝায়। অধুনিক বিজ্ঞান মতে, বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি হয়েছে মোটামুটি ১৪০০ কোটি বছর আগে আর পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে মোটামুটি ৪৬০ কোটি বছর পরে। এর মধ্যে পৃথিবীর উঞ্চতা কমে বায়ুমণ্ডলের রূপান্তর ঘটেছে, ক্রমেক্রমে বদলেছে ভূ-পৃষ্টের গঠণ অনুভূত হয়েছে প্রানের স্পন্দন এবং কালক্রমে পৃথিবী হয়ে উঠেছে প্রাণ ধারনের উপযোগী।
বিশ্ববিধাতা মহান আল্লাহ জাল্লাহ শানহুর আপন স্বরূপে বিমুগ্ধতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে নূরে মুহাম্মদি (দঃ)’র রূপায়নে যা হতে তিনি সৃষ্টি করেছেন এ বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের প্রতিটি অনু পরমানু আবার তারি সাথে স্বতন্ত্রভাবে রূপদান করেছেন মানবমূর্তিকে তথা আদমকে। এখানে লক্ষ্যণীয় বিষয় হল “আল্লাহ >নূরে মুহাম্মদী>আদম, আল্লাহ >নূরে মুহাম্মদী>বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড” অর্থাৎ নূরে মোহাম্মদীর নূর হতে ২ প্রকার সৃষ্টির উদ্ভব একদিকে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড অপর দিকে আদম তথা মানব ও মানবকূল। বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড ও মানব দেহ বিশ্লেষণ করলে বেশ কিছু গঠণগত মিল পাওয়া যায় যেমন ব্রহ্মাণ্ডের ১৮ হাজার সৃষ্টির মূল উপাদান হল আগুন, পানি, মাটি, হাওয়া। আর মানবদেহের গঠণগত মূল উপাদানও আগুন, পানি, মাটি, হাওয়া। সুতরাং বিশাল বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের গঠণগত ক্ষুদ্র প্রতি সংস্করণ মানবদেহকে বললে অতিশয় ভুল বলা চলে না। হাদিছে কুদছিতে আদম সৃষ্টি সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে “খালাখাল্লাহু আদামা আলা সুরাতিহি” অর্থাৎ “আমি আদমকে সৃষ্টি করেছি আমার নিজ অবয়বে/ আকৃতিতে”। সুতরাং একদিকে আল্লাহর জাতী উপাদান হতে যেমন ১৮ হাজার মাখলুখাত তথা ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি সম্পন্ন করেন তেমনি আপন অবয়ব দানে আদম রূপায়ন করে ব্রহ্মাণ্ড ও আদমতনের সমতা রেখেছেন। এই রাজ রহস্যটি বোঝার জন্য প্রয়োজন আল্লাহর পরিচয়ের, এভাবেই মানব শ্রেষ্টত্বের ভিত্তিটি রচিত হয়। খাদেমুল ফোখরা হযরত শাহ ছুফি ছৈয়দ দেলাওয়ার হোসাইন (কঃ) মাইজভান্ডারী তাঁর রচিত বেলায়েতে মোতলাকায় উল্লেখ করেন “এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে খোদায়ী ফজিলতের মাধ্যমেই মানবের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্টিত। খোদা পরিচিতি জ্ঞান অর্জনের ইহা একান্ত প্রয়োজন। স্রষ্টা অনুরাগ ও সৃষ্টি অনুরাগের মধ্যখানে ইহার স্থিতি” [বেলায়াত মোতলাকা, ৯ম পরিচ্ছেদ পৃঃ ৮০]। আল্লাহর অস্থিত্ব বিশ্বব্রহ্মাণ্ডময় বিস্তৃত তেমনি নূরে মোহাম্মদীর অস্তিত্বও বিরাজমান আশ্চর্যের বিষয় হল আদম তথা মানবদেহেও আল্লাহর সাথে সাথে মুহাম্মদী আকৃতিরও সফল রূপায়ন ঘটেছে। যার প্রকৃত প্রকাশ ঘটেছে নূরে মোহম্মদী (দঃ) আদম আকৃতিতে মানব হেদায়তের উদ্দেশ্যে ধরাদামে অবতীর্ণ হন এবং মানবকে সেই মহিমান্বিত স্বত্তার দিকে প্রত্যাবর্তীত হওয়ার রাহ প্রদর্শন করে বিশ্ব ধর্ম হিসেবে ইসলামকে পরিপূর্ণতা দান করার মাধ্যমে। যারা তার প্রদর্শিত রাহ (পথ) অনুসরণ করেছেন তারাই হেদায়াত প্রাপ্ত হয়েছেন এবং স্বীকৃতি পেয়েছেন নূরে মোহম্মদীর উম্মত হিসেবে। উম্মত শব্দের পারিভাষিক অর্থ জাত, নূরে মোহাম্মদীর জাত তারাই যারা আপন দেহে ব্রহ্মাণ্ড খুজে পেয়েছেন, দর্শনের তৌফিক পেয়েছেন আল্লাহর জাতী প্রকাশ্য রূপ, নূরে মোহাম্মদী (দঃ)’র আকার সাকার। বলা বাহুল্য আল্লাহর সৃষ্ট ফেরেস্তাকূল, জান্নাত, জাহান্নামসহ ঈমানের বিষয় সমূহের সফল রূপায়ন করা হয়েছে মানবমাঝে। প্রচলিত এই পংক্তিটি হয়ত কবি মনের এরূপ চিন্তা হতেই নিশৃত “কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক কে বলে তা বহু দূর, মানুষের মাঝে স্বর্গ নরক মানুষেতে সুরাসুর” [শেখ ফজলুল করিম, কবিতাঃ স্বর্গ ও নরক]। আল্লাহর সৃষ্ট ফেরেস্তারা মানবদেহে বিজড়িত থেকেই আল্লাহ প্রদত্ত নির্দেশনাসমূহ মানব মনের অন্তরালে সম্পন্ন করে চলেছেন, আত্ম পরিচয় প্রাপ্তরা এ বিষয়ে সম্মেক অভিহিত; এতে কোন সন্দেহ নেই। তাই বিখ্যাত মনিষী ও সাধক জালালুদ্দিন খাঁ জালাল গীতিকা সমগ্রের ৪র্থ খন্ডের ৪১১ পৃষ্টায় উল্লেখ করেন-
“অখন্ড ব্রহ্মান্ড লইয়া, কতই ঘুরলে দুনিয়ায়
ক্ষুদ্র ভাণ্ডেই মহাকাশ বাতাসে বেড়ায়,
জালাল তাহার দিশে না পায় জীবন যায় অকারণে”।
গগণ তলে শৃঙ্খলিত পর্বতশ্রেণী পাশে নদীর ছুটে চলা কলতান এমন অপরূপ দৃশ্যের লীলা নিকেতন ব্রহ্মাণ্ড মাঝে যে অপরূপতা দান করেছে তা মহান ব্রহ্মাণ্ডপতি আল্লাহজাল্লাহ শানহু আপন কৃপায় মানব দেহে দান করেছেন, যার ক্ষুদ্র প্রমাণ পাই সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর লেখনীতে।
তিনশো ষাট রসের নদী
বেগে ধায় ব্রহ্মাণ্ড ভেদি
তার মাঝে রূপ নিরবধি
ঝলক দিচ্ছে এই মানুষে।
[মনের মানুষ- পৃঃ ২১৫]
আল্লাহজাল্লাহ
শানহু মানুষকে সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ট জীব তথা আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে ঘোষণা
দেওয়ার পিছনে লুকিয়ে আছে নিগূঢ় সৃষ্টিতত্ত্ব নচেৎ কেনইবা আপন
শ্রেষ্টত্ত্বের স্থলে মানুষকে দাড় করিয়েছেন? স্রষ্টার মহিমা বুঝা বড়ই
দুঃসাধ্য, তবে তা যেমন কঠিণ তেমনি সহজও বটে, প্রয়োজন দিব্য জ্ঞান, ব্রহ্ম
জ্ঞান যা দ্বারা সৃষ্টি তার স্রষ্টার সাথে সম্পর্কের জাল খুজে “আল ইনসানু
সিররিহি ওয়া আনা সিররাহ” এর রাজ রহস্য ভেদ উদঘাটন করে আপন মাঝে স্রষ্টার
গুণাবলির বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে সক্ষম হন। তখনি মানব বুঝতে পারে নিজের ভীতর
ব্রহ্মাণ্ডের বিশালতা। তাই বি এ জাফর শাহ ঢংকায়ে রহমানীয়ার ৪র্থ অঙ্কে
বলেছেন- “বিশাল ব্রহ্মাণ্ড একটা বিরাট হাস্তী। এর মাঝে হরেক রকম স্থলচর,
জলচর, উভয়চর এবং নভোচর প্রাণীপুঞ্জ কে তার হিসাব রাখে! লোক জ্ঞানের গোচরে
অগোচরে সৃষ্টির নানা স্থরে কত কিছুর আবির্ভাব এবং তিরোধান ঘটেছে কে তার খবর
রাখে।” এখানে উল্লেখ্য বিষয়, ব্রহ্মাণ্ড কে হাস্তী হিসেবে আলোকপাত করা
হয়েছে। হাস্তী শব্দটি মানুষের বেলায় ব্যবহার বিদ্যমান, রূপকভাবে ব্রহ্মাণ্ডকে
মানুষের সাথেই তুলনা করা হয়েছে। হয়ত পাঠককূলের অনেকেই বিষয়টি মেনে নিতে
নারাজ তাই প্রয়োজন আত্ম জ্ঞানের, আত্ম পরিচয়ের সর্বোপরি আপন মাঝে স্রষ্টা ও
সৃষ্টিরূপ দর্শনের। মাইজভান্ডারের মধ্য ভান্ড দর্শনের তৌফিক হযরত কেবলায়ে
আকদছ শাহছূফি ছৈয়দ আহমদ উল্লাহ (কঃ) মাইজভান্ডারীর খলিফা গণের হয়েছিল যারা
বিশ্বময় আজো আত্মজ্ঞানের আলো বিকিরণী প্রদীপ রূপে স্বস্থানে দন্ডায়মান। হযরত
ছূফি মনমোহন (কঃ) মাইজভান্ডারী তেমনি একজন দিকদর্শী, জ্ঞানদীপ্ত
আলোকবর্তিকা আপনাতে বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের আবিষ্কার করে তারও মূলে অর্থাৎ
অন্তরাত্মায় একেশ্বর রূপ দর্শনে জগৎ নন্দিত গুণি সাধকের মর্যাদা অর্জন
করেছেন, জ্ঞান জ্যোতি দিয়ে আলোকিত করেছেন ভূবনকে। নিম্মোক্ত কালামটি তাঁর
আত্ম জ্ঞান প্রখরতার গভীরতা প্রকাশ করে-
অখন্ড ব্রহ্মাময় ভিতরে বাহিরে
এক ব্রহ্ম পূর্ণ জ্যোতি ভাসিলে অন্তরে
ধ্যানে অধিকার হয়, খুলিলে দর্শন
সত্যই দেখিবে বিশ্ব শুধু একজন।
[সূত্রঃ মনমোহন, পাথেয়, পৃঃ ১৭১, ধ্যান ও ধারণা- ৪]
ভাব
প্রকাশের অন্যতম লিখিত মাধ্যম হল সংকেত চিহ্ন বা বর্ণ, আরবীতে হরফ।
ব্রহ্মান্ডে মানব সভ্যতার সূচনাই হয়েছিল লেখার আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে। আরবী
হস্তলিপি শৈলির অন্যতম উপাদান আরবী হরফ সমূহ আবিষ্কার ও এর উৎস বিবেচনা
করলে স্পষ্ট দেখা যায় মানব দেহ হতেই এসবের সূচনা। আরবী ত্রিশ হরফ যেন
মানবদেহের সাথেই জুড়ে আছে। এভাবে ব্রহ্মাণ্ডময় বিভিন্ন ভাষার বিবিধ চিহ্ন
ভাষাবিজ্ঞানীগণ গবেষণার মাধ্যমে সৃষ্টি করেন। বোঝার বিষয় হল সকল ভাষা ও
ভাষার লিখন রিতীর উৎপত্তি স্থল হল মানব তন। এ ক্ষেত্রে জালালুদ্দিন খাঁ এর
জালাল গীতিকা সমগ্রের একটি পংক্তি উল্লেখ্য-
“এ বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড ভরে ভাষা সৃষ্টি মানুষেই করে
তাই দিয়ে লেখে পড়ে নানান রঙ্গের বই ছাপাই
তৌরত জবুর ইঞ্জিল কোরআন আমরা বলি আল্লাহর দান
ইসলামে মানতেছে ফোরকান আরবি ছাপা হইল মক্কায়।”
সুতরাং
পৃথিবীর যা কিছু মহান সব কিছু মানুষকে নিয়েই আবর্তনের সূচনা যা
বিবর্তনরূপের পর্যায়ক্রমিক ধারায় বর্তমান কাঠামোরূপ পরিগ্রহ করে । মানবময়
অযুত জ্ঞানভান্ডের খবর সব মানুষের মধ্যে পাওয়া যায় না কারণ আদি শয়তান ষড়
রিপুরূপে ওই মানব ব্রহ্মাণ্ডে বারংবার কষাঘাত হানে লন্ডভন্ড করে দেয় জৈবিক
সত্ত্বাকে তখন প্রয়োজন পরে ব্রহ্মাণ্ড গুরুর বা ইনসানে কামেল মুর্শিদের যিনি
মানবকে আপন পরিচয় দানে কৃপা করে ভবসিন্ধু তরণে সাহস যোগায়, বন্ধুরূপে
সহযোগিতার হস্ত প্রসারন করে সহজ সত্য ও সুন্দর রাহে পরিভ্রমন করান এবং
পৌছিয়ে দেন মঞ্জিলে মুকছদে, যেখান থেকে সে এসেছে।
তাই সময়ের কাজটি সময়ে
করে নেওয়া প্রয়োজন। কারণ মনুষ্য সমাজ একটি জটিল ভ্রমের জাল, ঠিক সময়ে ঠিক
কাজ করতে কারো মনে পড়ে না তারপর বেঠিক সময়ে বেঠিক বাসনা নিয়ে অস্থির হয়ে
মরে। আমি মহান আল্লাহজাল্লাহ শানহুর দরবারে অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি আমার
এই দেহভান্ডের সদা জাগ্রত গুরু ছিররুর রহমান, মাখজানুল কোরআন হজরত শাহ ছুফি
ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ (মাঃজিঃআঃ) এর চরণ ধূলা পেয়েছি এবং তাঁর কৃপায় আপন
ব্রহ্মাণ্ড জ্ঞান পথে ব্রতী হওয়ার সুযোগ পেয়েছি। মুনিব আমায় সে পথে দায়েম
রাখুক এই কামনা করি। অতঃপর মানুষের প্রতি উদাত্ত আহ্বান রইল আত্ম পরিচয়
হাসেলের মাধ্যমে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের জ্ঞান অর্জনের জন্য চলুন রাহে ভান্ডারের
রাহ্ তে এবং পরিপূর্ণ করি আজাদে মোজাদ্দেদ জমান হজরত ছুফি ছৈয়দ আব্দুল
মালেক শাহ্ (কঃ) এর সেই স্বতঃসিদ্ধ কালামকে “জ্ঞানের আলোকে আগমন হয়ে মুক্তির সন্ধান পায়”। সেই আত্ম জ্ঞান যা ব্রহ্মাণ্ডময় মানুষ খুঁজে চলেছে
নিরন্তর যা পাওয়ার আসে আশেক মন সর্বদায় ব্যাকুল থাকে। অতঃপর অযুদুল কোরআন
রাজে দুলহা হযরত ছুফি ছৈয়দ ছালেকুর রহমান শাহ (কঃ) রাহে ভান্ডারীর
“একভাব এক দেখ একই চিন, এক পথই সত্য জান না ভাব ভিন” এই পবিত্র কালামকে
জীবন পথের ব্রতী হিসেবে গ্রহণ করে ব্রহ্মাণ্ডময় হযরত গাউছুল আজম মাইজ
ভান্ডারীর জ্ঞানময় রাহে অবগাহন করে সকলের ইহ ও পারলৌকিক জীবনকে ধন্য করে
তুলি। নিজেকে গড়ে তুলি উম্মতে মুহাম্মদী (দঃ)’র শিক্ষায় শিক্ষিত পরিপূর্ণ
আত্মজ্ঞানরূপী মানুষ হিসেবে। অতঃপর পাঠক কূলে কাঁচা হাতের ভুলগুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার
অনুরোধ জানিয়ে শেষ করছি দীন হীন এ গোলামের পরম পূজনীয় পরমেশ্বর, মোহনীয় জ্ঞান কাননের প্রষ্ফুঠিত চিরস্থায়ী পুষ্প, উম্মুক্ত বেলায়াত যুগের কলেমার প্রত্যক্ষ দীক্ষাগুরু হযরত ছুফি ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ (মাঃজিঃআ)’র পবিত্র মুখ নিঃশৃত একটি বাণী দিয়ে -
“মন মানুষ তোর আপন ঘরে
বসে আছেন নিজ আকারে
খোঁজ কেন মসজিদ, মন্দির ও গীর্জায় তারে
জ্ঞানের চোখ মেলে তাকাও
রাহে ভান্ডারীর চরণ ‘পরে।”
সম্পাদনায়ঃ মোঃ নাজিম উদ্দিন
সম্পাদনায়ঃ মোঃ নাজিম উদ্দিন
Men's Gold Men's Gold Men's Gold Men's Gold
ReplyDeleteMen's apple watch stainless steel vs titanium Gold Men's Gold Men's Gold Men's Gold dental implants Men's Gold Men's Gold Men's t fal titanium Gold Men's apple watch titanium vs aluminum Gold Men's sugarboo extra long digital titanium styler Gold Men's Gold Men's Gold